ইতালীয় লেখক ইতালো কালভিনোর জন্ম

// অন্যধারা.কম //  ইতালো কালভিনোর ১৯২৩ সালের ১৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায ছিলেন একজন সাংবাদিক। ১৯৮৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
১৫৪২ সালে মোগল বাদশাহ আকবর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পুরো নাম ছিলো আবুল ফজল জালাল উদ্দিন আকবর । পিতা হুমায়ুনের মৃত্যুর পর মাত্র তের বছর বয়সে তিনি দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন। প্রথম পাঁচ বছর তিনি বৈরাম খানের অভিভাবকত্বে শাসন কার্য পরিচালনা করেছেন। তার রাজত্বকালে, কাশ্মীর, পাঞ্জাব, বাংলা, আহমেদানগর এবং কান্দাহার মোগল শাসনের আওতায় আসে। তিনি দাক্ষিণাত্যকে পোর্তুগীজ শাসনমুক্ত করেন। বাদশাহ আকবর ১৬০৫ সালে মৃত্যু বরণ করেন।
ফার্সি ১৩৬১ সালে আয়াতুল্লাহ আতাউল্লাহ আশরাফি ইস্ফাহানী শহীদ হন। তিনি ছিলেন ইমাম খোমেনী ( রহ ) এর প্রতিনিধি এবং ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কেরমানশাহ’র জুমার ইমাম। আয়াতুল্লাহ আতাউল্লাহ আশরাফি ইস্ফাহানী মেহরাবে নামাযরত অবস্থায় সন্ত্রাসী মোনাফেকীন গোষ্ঠির হামলায় শাহাদাতবরণ করেন। ইসলামী বিপ্লবের গঠন ও বিকাশ প্রক্রিয়ায় কেরমানশাহ’র জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে তিনি যথার্থ নেতৃত্ব দেন এবং শাহের বিরুদ্ধে সংগ্রামে লিপ্ত হবার জন্যে জনগণকে অনুপ্রাণিত করেন। এই বিপ্লবী ভূমিকার কারণে তিনি বহুবার গ্রেফতার হন এবং জেল খাটেন। ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের পর ইমাম খোমেনী ( রহ ) এর আদেশে এই স্বনামধন্য আলেমে দ্বীন কেরমানশাহ’র জুমার ইমাম নিযুক্ত হন। অবশেষে ১৪ ই অক্টোবর তারিখে জুমা নামাযের সময় ইসলামের শত্র”দের হাতে ইবাদাতের মেহরাবেই তিনি শহীদ হন।
১৮৯৪ সালে ফরাসি গোলান্দাজ বাহিনীর ইহুদি ক্যাপ্টেন আলফ্রেড দারিফুসের বিচার রাজধানী প্যারিসে শুরু হয়। গোয়েন্দাবৃত্তির অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবনের কারাদন্ড দেয়া হয় এবং ফ্রান্স গিনির অন্তর্ভূক্ত ডেভিসল আইল্যান্ডে তাকে নির্জন কারাবাসে প্রেরণ করে। শেষ পর্যন্ত এ সংক্রান্ত তথ্য উদ্ঘাটিত হয় এবং ১৮৯৯ সালে দারিফুসকে গিনি থেকে ফেরৎ আনা হয়। দারিফুসের এই বিচার নিয়ে ১৮৯০ থেকে ১৯০০ সালের প্রথম দশক পর্যন্ত ফ্রান্সে বিতর্ক চলেছে এবং সমগ্র ফ্রান্স দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছিলো। ইহুদিবাদীরা দারিফুসের ঘটনাকে ইউরোপে ইহুদি নির্যাতন হিসেবে তুলে ধরে ব্যাপক প্রচারণা চালায়।
১৮৪৪ খৃষ্টাব্দে জার্মান দার্শনিক, কবি এবং ঊনবিংশ শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী চিন্তাবিদ ফ্রেডারিক নীটৎশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবা ছিলেন খ্রীষ্ট ধর্মের যাজক। মাত্র ৫ বছর বয়সে তার পিতা পরোলোকগমন করেন। পরে নীটৎশে মায়ের নজরদারিতে বড় হয়ে উঠেন। বন এবং লিপজিগ বিশ্ববিদ্যায়ে অধ্যায়ন শেষে তিনি মাত্র ২৪ বছর বয়সে বাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসিক দর্শনের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত হন। দুর্বল দৃষ্টিশক্তি এবং মাইগ্রেন তাকে সারা জীবন কষ্ট দিয়েছে। ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে তিনি ১৮৭৯ সালে অবসর গ্রহণ করতে বাধ্য হন। দশ বছর পরে তিনি মানসিক অবসাদের শিকার হন এবং ১৯০০ সালে তিন পরলোকগমন করেন। তার লিখা বিখ্যাত গ্রস্থগুলো অন্যতম হলো, দা বার্থ অব ট্রাজেডি। যা ১৮৭২ সালে প্রকাশিত হয়েছিলো। ১৮৮০ দশকে তার বেশির ভাগ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
১৯৪৬ সনের ১৫ ই অক্টোবর ফিল্ড মার্শাল হারম্যান গোয়েরিং আত্মহত্যা করেন। দ্বিতীয় যুদ্ধপরাধের দায়ে তার প্রাণদন্ড কার্যকর কয়েক ঘন্টা আগে তিনি আত্মহত্যা করেন। ১৮৯৩ সালের ১২ ই জানুয়ারী গোয়েরিংয়ের জন্ম হয়েছিলো। তিনি জার্মান বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন এবং তিনি একনায়ক এডলফ হিটলারের উত্তরাধিকার ছিলেন । গোয়েরিং নাৎসী জার্মানীর দ্বিতীয় শক্তিশালী নেতা ছিলেন। দ্বিতীয় যুদ্ধের শেষের দিকে তিনি জার্মান সরকারের কর্তৃত্ব নিজ হাতে তুলে নেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলেন । হিটলার আগে ভাগে এ খবর পেয়ে যাওয়ায় গোয়েরিংয়ের সকল পদবী ও দায়িত্ব কেড়ে নেন এবং তাকে গ্রেফতার করার জন্য এস এস বাহিনীকে নির্দেশ দেন । তবে এই আদেশ বাস্তবায়নের আগেই গোয়েরিং ১৯৪৫ সালে মার্কিন বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করেন । নাৎসী জার্মানীর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত নুরেনবার্গ আদালতে গোয়েরিংয়ের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তাকে ফাসিতে ঝুলিয়ে প্রাণদন্ডের রায় দেয় এই আদালত। প্রাণদন্ড বাস্তবায়নের মাত্র দুই ঘন্টা আগে বিষ পানে গোয়েরিং আত্মহত্যা করেন।
১৯১৭ সালে  কথিত রহস্যময়ী জার্মান গোয়েন্দা মাতা হারির প্রাণদন্ড কার্যকর করা হয়। ফরাসি কর্তৃপক্ষ মাতা হারির বিচারকালে গোয়েন্দাবৃত্তির অভিযোগ প্রমাণ করার মতো জোরালো কোনো আলামত বা সাক্ষী উপস্থাপন করতে পারেনি। উপরোন্ত মাতা হারি দাবি করেন, তিনি ইচ্ছা করেই জার্মানীর হাতে গুরুত্বহীন তথ্য তুলে দিয়েছেন। কিন্তু ফরাসি সরকার রণাঙ্গনের পরাজয় থেকে ফ্রান্সের নাগরিকদের দৃষ্টি ফেরানোর জন্য মাতা হারিকে প্রাণদন্ড দেয়ার জন্য বধ্যপরিকর হয়ে উঠে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ চলাকালে ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে তার এই প্রাণদন্ড কার্যকর হয়। গোয়েন্দা হিসেবে মাতা হারি কতোটুকু সফল হয়েছিলেন তা নিয়ে সংশয় থাকলেও মাতা হারির নামকে ঘিরে নানা রহস্যের সৃষ্টি করা হয়েছে।
এবং:
১৫৮২ সালে ইতালি ও স্পেনে গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডার বা খ্রিস্টীয় সাল প্রবর্তিত হয়। এর ফলে ৫ অক্টোবর ১৫ অক্টোবর হয়ে যায়।
১৬৭৬ সালে ব্রিটেনের রাজার কাছ থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে টাকা ও পয়সা মুদ্রণের অনুমতি লাভ করে।
১৯১৭ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মান গুপ্তচর লাস্যময়ী নর্তকী মাতাহারি ফরাসি সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন।
১৯৬৪ সালে চীন প্রথম পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করে এবং বিশ্বের পঞ্চম পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে গণ্য হয়।
খ্রি.পূ. ৭০ সালে রোমের মহাকবি ভার্জিলের জন্ম।
১৫৪২ সালে মোগল সম্রাট জালালুদ্দিন আকবরের জন্ম।
১৮৪৪ সালে জার্মান দার্শনিক ফ্রিডরিখ নিটশের জন্ম।
১৯২৬ সালে ফরাসি সমালোচক ও প্রাবন্ধিক মিশেল ফুকোর জন্ম।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ